বরগুনার পাথরঘাটায় কলেজ পড়ুয়া বোনকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ছোট ভাই আব্দুল্লাহর পিঠে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সুজন নামে এক আ’লীগ নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। এসময় আব্দুল্লাহকে বাঁচাতে গেলে তার বড় ভাই হাসানকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে সুজন। রবিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের কামারের হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত হাসান ও আব্দুল্লাহ কালমেঘা ইউনিয়নের কামারের হাট এলাকার ফজলুল হক খানের ছেলে।
ঘাতক সুজন (২৫) কালমেঘা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি হানিফ মিয়ার ছেলে।
আহত হাসানের মা পারুল বেগম জানান, ঘাতক সুজন বিভিন্ন সময়ে আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো। সময় অসময়ে আমাদের বাড়িতে আসতো। বিষয়টি আমার ছেলেদের জানালে তারা প্রতিবাদ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েকদিন আগে আমার ছোট ছেলে আব্দুল্লাহকে মারধর করে সুজন।
ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী জানান, সকালে সুজন ও তার সহযোগীরা তার পথ আগলে উত্ত্যক্ত করে। বিষয়টি পরবর্তীতে ভাইদের কাছে জানালে সন্ধ্যায় কামারের হাট বাজারে সুজনের কাছে জানতে চায়। এসময় সুজন ও তার সহযোগী মিলে মারধর করে।
আব্দুল্লাহ জানান, আমি আর আমার বড় ভাই মিলে সুজনের কাছে আজকের ঘটনা জানতে চাইলে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে আমাদেরকে মারধর করে। এসময় আমার পিছন দিয়ে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত সুজন সেনাবাহিনীর সদস্য ছিল। নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় সম্প্রতি তিনি চাকরিচ্যুত হন। অভিযুক্ত সুজন বছর খানেক আগে আব্দুল্লাহর বোনকে বিয়ার প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখান করায় সুজনের মধ্যে ক্ষোভ তৈরী হয়। এছাড়াও সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরেও উভয়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল বলে জানা যায়।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, আব্দুল্লাহর শরীর থেকে ছুরিটি বের হওয়া সম্ভব হয়নি। তাকে জরুরী বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পাথরঘাটা থানার উপ পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, খরব পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে তথ্য নিয়েছি। ঘটনার সত্যতা মিলছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।