আপন মেঝো ভাইয়ের সাথে জমি নিয়ের বিরোধের জের ধরে বরগুনার পাথরঘাটায় রাতের আধারে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পাথরঘাটা উপজেলার সাবেক সভাপতি মো. আবুল বাশার (৪৫) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পাথরঘাটা উপজেলা আমীর মো. শামীম আহসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করেছেন।
নিহত আবুল বাশার একই এলাকার মো. মতিয়র রহমানের ছোট ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পাথরঘাটা পৌরশহরের গোলচত্তর এলাকায় ব্যাবসা করতেন।
আবুল বাশারের স্ত্রী তানিয়া জানান, তার ভাশুর সিদ্দিকুর রহমানের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়ে ভাশুর সিদ্দিকুর রহমান ও তার ছেলে মুছা এবং ছোট ভাই আবুল বাশার ও স্ত্রী তানিয়াকে মারধর করেছে। এ নিয়ে মামলা হলে পরে সেই মামলা উঠিয়ে ফেলে। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০ টার দিকে তার স্বামী আবুল বাশারকে ফোন দিলে তিনি বলেন দোকান বন্দ করতেছে বাড়িতে আসার জন্য। এর পর থেকে তার ফোন বন্দ ছিল। ফোনে না পেয়ে টর্সলাইট নিয়ে বাড়ির সামনের দিকে গেলে সড়কের পাশের মাঠের পানির মধ্যে তার স্বামীকে পড়ে থাকতে দেখেন। তাতক্ষনিক চিতকার দিলে স্থানীয় লোকজন এসে দেখেন তার ঘারের উপর লোহার দেশীয় অস্ত্র (সাড়াশি) গেথে আছে। এ সময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।
তিনি আরো জানান, তার ভাশুর সিদ্দিকুর রহমান, তার ছেলে মুছা এবং মেয়ে জামাই সোহেল এ কাজ করতে পানের বলে ধারনা করছেন। এছাড়া বিক্যাশের টাকা ফ্লেক্সিলোডের মোবাইল নিয়া যায় তারা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমান ও তার ছেলে মুছার সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পাথরঘাটা উপজেলা আমীর মো. শামীম আহসান এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর পাথরঘাটা উপজেলা সভাপতি হাফেজ রাকিবুল ইসলাম জানান, আবুল বাশারের ভাই সিদ্দিকুর রহমানের সাথে অনেক আগে থেকেই জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। এর সূত্র ধরেই আবুল বাশার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে, এটি পূর্ব পরিকল্পিত। আমরা চাই আইনের মাধ্যমে সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি হোক।